
মুক্তির কণ্ঠ ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ওয়ার্ড আওয়ালীগের নেতাকর্মীরা।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে সরাইল উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে পদ বঞ্চিতরা।
এসয় ৩নং চুন্টা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার কথা বলেন তারা। তাদের দাবী যারা কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মো. শাহেদ মিয়া, আব্দুর রহিম, ওহাব মিয়া, রমজান আলী, মো. রাসেল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজাকারের স্বজনদের হাতে এখন চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। অভিযোগ রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের জনৈক নেতা ও এক সরকারি চাকরিজীবি নাম ইউপি আ’লীগের বড় পদের নেতার বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে টাকা নিয়ে পদ দেয়ার অভিযোগ।
লোক দেখানো সম্মেলনের নামে উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য চুন্টার বাসিন্ধা জনৈক নেতার ইশারায় সবকিছু
হচ্ছে বলে জানা যায় । ওই নেতার পছন্দের দুই ব্যক্তিকে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সম্পাদক বানানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনে যা ইচ্ছে তাই করছেন। একজন আওয়ামী বিদ্রোহী, আরেক জন সরকারি চাকরীজীবি।
বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম ওই ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। স্কুল খোলার দিনেও তিনি ছুটছেন কমিটি করার সভায়। তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে ৯টি ওয়ার্ড কমিটি করেছেন। প্রত্যেক কমিটির দায়িত্বশীল পদে রয়েছে আওয়ামী বিরোধী লোকজন। যারা জীবনে কোন দিন আ’লীগ করেননি। বক্তারা আরও বলেন, আমরা এহেন অগণতান্ত্রিক কাজের প্রতি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা ৯টি ওয়ার্ডেই পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকজন দিয়ে কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।
এইবিষয়ে জানতে চাইলে , শিক্ষক আবুল কালাম রাজনৈতিক দলের পদে থাকা ও সম্মেলন করে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের পক্রিয়া শেষ করার কথা স্বীকার করে বলেন, সরকারি চাকরি করে রাজনৈতিক দলের পদে থাকা যাবে কি না আমার জানা নেই। তবে উপজেলা ও জেলার নেতারা দায়িত্ব দিয়েছেন কাজ করছি। আগামী সম্মেলন পর্যন্ত আছি, এরপর কি হয় দেখা যাক। টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। আমরা ত্যাগী লোকদের পদ দিয়েছি।