
মুক্তির কণ্ঠ ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান ও ঘর- বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় রাত ৩টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে গেছে। উপজেলা অরুয়াইল, পাকশিমুল, চুন্টা, পানিশ্বর, নোয়াগাঁও
ও শাহজাদাপুর এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বাদে অরুয়াইল গ্রামের নুর মাহমুদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী আখড়ার বিশালাকার গাছ পড়ে তিনটি ঘর ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাণীদিয়ার মাদরাসার টিনশেড ঘরের ছালা উড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে আঘাত করেছে।
এছাড়া নোয়াগাঁও ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান ও ঘর- বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উপড়ে গেছে গাছপালা,ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ি, ধান ও ভুট্টা গাছগুলো হেলে পড়েছে। গাছ থেকে মরিচ ঝরে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের আঘাতে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসমা বেগম বলেন, গতরাতে কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচন্ড শীলাবৃষ্টির কারণে প্রায় ৫০টির বেশী টিনের ঘর ভেঙ্গে গেছে এবং কয়েকটি ঘরের চাল উড়িয়ে কোথায় নিয়ে গেছে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পাকশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দা আসকর আলী বলেন, জয়কান্দি করিমপুর গ্রামের প্রায় ১০টি ঘর ও গাছপালা ও কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানিশ্বর ইউনিয়নের ওসমান গণি বলেন, লাইয়ার খাটি এলাকার কৃষিজমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা আরো জানান, শুক্রবার রাত ৩টায় হঠাৎ আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়। নিমিষেই ঘরবাড়ি-দোকানপাট লন্ডভন্ড করে দেয়। এ ঘটনায় অনেক মানুষ নিজের ঘরসহ আসবাবপত্র রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন বলেন, ঝড়ে নুয়ে পড়া পাকা ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে শিলা বৃষ্টিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। আমরা ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয় ক্ষতির তালিকা তৈরী করছি। একই সাথে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কৃষি সম্প্রসারণ এর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কাজ করবে।