
মো. রফিকুল হাসান সোহাগ, মুক্তির কণ্ঠ
কালনি’ বিজয়’ ও ‘উপবন এক্সপ্রে এই তিন ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবি ও ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায়, তিনটি ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং টিকিট কালোবাজারির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে জেলা নাগরিক ফোরাম। এতে জেলা নাগরিক ফোরামের নেতারা ছাড়াও শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, পরিবেশবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন ট্রেনের আসন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছি, ঠিক তখনই আসন সংখ্যা কমিয়ে নেয়া হয়েছে। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে কালোবাজারি মুক্ত দেখতে চাই। এ রুটে চলাচলকারি সব ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানাাচ্ছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকি বলেন, আমরা আমাদের জীবণবাজি রেখে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কেন নাগরিক ফোরামের মাধ্যমে আমরা দাবি করব। টিকিট কালোবাজারির কোনো দোষ নেই। তাদের সুযোগ দেয়া হয় বলেই তারা কালোবাজারি করছে। তাদের যারা সহযোগিতা করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযুর্ষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কালনি, বিজয় ও উপবন এক্সপ্রেস এই তিন ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ও ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করে আসছি। এদিকে ফোরলেনের কাজের জন্য সড়কপথেও নাগরিকরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদি আগামী ১ মাসের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হয়, তাহলে জেলার সকল সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন চলাচল বন্ধ ও রেলপথ অবরোধের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মুহাম্মদ আকরাম, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত, সাংবাদিক উজ্জল চক্রবর্তী, নোঙর সভাপতি শামীম আহমেদ সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।