
জহির শিকদার, মুক্তির কণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সরকারি ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফিরোজ মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার বিকেলে মরহুমের নিজ গ্রাম উপজেলার আড়াইসিধা উত্তরপাড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার গ্রীনরোডে অবস্থিত নিজ বাসায় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা ল্যাব এইড হসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইন্তেকালের সময় তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে-৪ মেয়ে ও নাতি-নাতিনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বৃহস্পতিবার বাদ ইশা রাজধানীর ধানমন্ডীর ডরমেটরি মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা শেষে লাশ নিয়ে আসা হয় নিজ উপজেলা আশুগঞ্জে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় আশুগঞ্জের সরকারি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় ও সকাল ১১টায় মরহুমের নিজ প্রতিষ্ঠিত সরকারি ফিরোজ মিয়া কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জুমা মরহুমের নিজ গ্রাম উপজেলার আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজার নামাজ শেষে উত্তরপারা পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ফিরোজ মিয়া উপজেলার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ফিরোজ মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও আশুগঞ্জ উপজেলায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানাসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে তিনি উপজেলাবাসীর নিকট বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার ইন্তেকালে এলাকার সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।