
মো: রফিকুল হাসান সোহাগ,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর -বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ প্রত্যাশার কথা ব্যাক্ত করেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। সেই লক্ষে একটি সুষ্ঠু অবাদ নির্বাচনের লক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মহান সৃষ্টিকর্তার দয়া রহমত এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দোয়া কামনায় আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমার প্রত্যাশার ব্যাপারে জণগণের মাঝেও যে আশা দেখেছি তা পূরণ করতে চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন সুযোগ পাই সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের দোয়া, সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় আমি আমার জীবনে স্রষ্টার সৃষ্টির সেবায়, দেশ ও মাটি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখাকে শপথ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। মানুষের অকৃত্তিম ভালবাসায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারে ২৬ বৎসর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এরই ধারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসী আমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর এই ভালোবাসার জন্য আমি এবং আমার পরিবার চিরঋণী। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেছি, আমার শৈশব-কৈশোর এখানেই কেটেছে, এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। আমার বয়স এখন ৭৭ বছর, আমার জীবনের শেষ সময়ে এসে আমার মনের একটি ইচ্ছা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানালাম।
তিনি আরো বলেন, বাঙ্গালী জাতির মহান নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি নিজেকে নিবেদিত রেখেছি। কৈশোর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। আমার জীবনের সৌভাগ্য যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখার ও সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সফল সারথী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারী হয়ে মনের প্রবল বিশ্বাস আস্থায় দেশ ও মাটি মানুষের সেবা কল্যাণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন রাজনীতির সাথে আমি সম্পৃক্ত। আমি আমার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত নিজেকে সেই আদর্শ ও ধারায় মানুষের সেবা কল্যাণে দেশে ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত রাখতে চাই। মানুষের সেবা করার মাঝেই আমি সুখ পেয়েছি। কোন বাঁধা-বিঘ্ন, ভয়ভীতিকে আমি তোয়াক্কা করিনি, আমি গণমানুষের অকৃত্তিম ভালোবাসা পেয়েছি, যা আমার জীবনের অনন্য প্রেরণা।
নাতিদীর্ঘ লিখিত বক্তব্যের সংমিশ্রণে “আওয়ামীলীগ ও ফিরোজুর রহমান এবং তাঁর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা ভাবনা” ফুটে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে তাঁর দল ও জনগন যদি সারাদেয় তবেই তাঁর প্রত্যাশার প্রাপ্তি ঘটবে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করেন।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন শেখ ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।