
মুক্তির কণ্ঠ ডেস্ক:
দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বাড়িউড়া-কালিকচ্ছ সড়কটি বেহাল। খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রতিনিয়ত ঘঠছে দুর্ঘটনা। গত ৬ মাসে এই সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একজন নিহতসহ আহত হয়েছে অর্ধশত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া বাজার থেকে আখিঁতারা বাজার পর্যন্ত চলাচলের প্রায় অনুপযোগী। দুইপাশ ভেঙ্গে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। পিচ ও আস্তর উঠে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। আগামী বর্ষার আগে সড়কটির সংস্কার করা না হলে চলাচলে প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, বাড়িউড়া-কালিকচ্ছ সড়কের দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত কিলোমিটার ও ১২ ফুট প্রস্থ। সড়কটি ২০০৯ সালের পর থেকে আর সংস্কার হয়নি। ফলে সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নির্মাণের ফলে উপজেলার নোয়াগাঁও, সরাইল সদর, শাহবাজপুর, কালিকচ্ছ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের অন্তত ৬০টি গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রায় নানা পরিবর্তন হলেও তা এখন স্থবির।
স্থানীয়রা জানায়, সড়কটির দুই পাশ ভেঙ্গে গেছে। কোনো কোনো স্থানে ১২ ফুট প্রস্থ‘র মাঝে মাত্র চার-পাঁচ ফুট। এতে বিপরীতমুখী দুটি অটোরিকশাও অতিক্রম করতে পারে না। যানবাহন পাশের খাদে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘঠছে দুর্ঘটনা।
আগামী বর্ষার আগে সড়কটি সংস্কার করা না হলে দুই লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
গাড়িচালক শফিক মিয়া বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রায়ই নষ্ট হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির খান (৩৫) ও আক্তার মিয়া (৪৫) বলেন, সারাদেশের রাস্তাঘাটের উন্নতি হলেও আমাদের এলাকায় কোন উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। এই সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে আমাদের চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়।
নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বলেন, সড়কটিতে যাতায়াত একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদের জন্য যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়। ছোট-বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। বিভিন্ন সময় সরকারি সংস্থার লোকজন সড়কটি মেপে নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের চলাফেরার ব্যবস্থা করে দেন।
সরাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাসুদুর রহমান মুজুমদার বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চেষ্টা করতেছি সংস্কার করার জন্য। এপর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থায় কয়েকবার প্রাক্কলন করে দিয়েছি কিন্ত কেন অনুমোদন হচ্ছেনা বুঝতেছিনা।