
মুক্তির কণ্ঠ ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান ছাড়াই জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ ও বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে নির্বাচিতদের মাঝে পুরস্কার পৌঁছে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে তেমন কোনো উৎসাহ বা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। শিক্ষা খাতে জড়িত সংশ্লিষ্টদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মেধা বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতদের প্রত্যেক উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবছর পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কাটাগড়িতে নির্বাচিতদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা খাতে সরকারি বাজেটে এ ধরনের উদ্দীপনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও নির্বাচিতদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার দেওয়ার কোনো উদ্যোগ না থাকায় হতাশ বিজয়ীরা।
এ ব্যপারে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল করিম বলেন, ২০১৯ সালে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে আমি প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলাম। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা স্যার এর নিকট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষকের পুরস্কার গ্রহন করেছিলাম। কিন্তু এ বছর দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছি তবে কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এবার পুরস্কার হাতে পেয়েছি। আগের মত আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার পেলে আরও ভাল লাগত। যাইহউক দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছি এতেই আমি খুশি।
এ ব্যপারে মাদ্রাসা পর্যায়ে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত সরাইল রাহমাতুল্লিল আলামীন দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, জীবনে প্রথমবারের মত মাদ্রাসা পর্যায়ে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছি। অনেক আশা ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার পাব। কিন্তু কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অনারম্বর পরিবেশে পুরস্কার হাতে পেলাম। এতে অনেকটা হতাশ হয়েছি। পুরস্কার পাওয়ার যে আনন্দ ও আগ্রহ ছিল সেটা অনেকটা ম্লান হয়ে গেল।