
মুক্তির কণ্ঠ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৩) তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তার প্রেমিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানা পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি চুন্টা
ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের ও
চুন্টা উত্তর পাড়া মাওলানা আসাদুল্লাহ সাহেবের মাদরাসাছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন শুভ মিয়া (২১), দুলাল মিয়া (২২), জীবন মিয়া (২০), স্বাধীন মিয়া (২১) ও ধন মিয়া (২৫)।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে শুভ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার (১৩ আগস্ট) কিশোরী মাদরাসায় যাচ্ছিল। এ সময় ঘুরতে নিয়ে যাবেন বলে শুভ তাকে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নরসিংদী জেলার বারৈচা এলাকায় নিয়ে যান। ওইসময় তার সঙ্গে আরও চারজন যুবক ছিলেন।
তারা ওই কিশোরীকে একটি পরিত্যক্ত স্কুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে সবাই পালিয়ে যান। ওইদিন রাতেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়িতে ফোন দেয় কিশোরী। পরে তাঁর বাবাসহ স্থানীয় লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে তাকে সরাইল নিয়ে আসেন। পরদিন তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে ভিকটিমের বাবা একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।