মুরাদ খান, মুক্তির কণ্ঠ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শ্রীমৎ মহারাজ আনন্দ স্বামীর প্রবর্তিত সর্বধর্ম সমন্বয় মতবাদ অনুসারীদের
সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ দয়াময় আনন্দ আশ্রম মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব
মো. শাহিনুর ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও সর্বধর্ম
অনুসারীদের সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক এড. জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি যু্দ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা
র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য-৩১২ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম সিউলি আজাদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ জাবেদা খাতুন পারুল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসভার সাবেক বিধায়ক শ্রী কৃষ্ণ ধন দাস, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,
বক্তব্য রাখেন, সর্বধর্ম প্রবর্তিত মিশনের সভাপতি প্রভাত কান্তি পাল, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. নজমুল হোসেন, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবীক লীগের আপ্যায়ন ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, সরাইল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সাবেক শিক্ষিক প্রমথ নাথ চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাশেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, মহর্ষি মনোমোহন’র নাতি বউ শ্রীমতি শঙ্করী দত্ত, এড. মামুন কবির, সন্মেলন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব জয়দেব বর্মণ, যুগ্ম আহবায়ক পরিমল দেব, চন্দনা আচার্য্য, অঞ্জনা রানী সাহা, কানু দেব প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, উপমহাদেশে সর্বধর্ম প্রবর্তিত মহারাজ আনন্দ স্বামী ছিলেন একজন মহাপুরুষ। একজন মহামনস্বী। আনন্দ স্বামী মানে বিপ্লবের নাম। হিন্দু ধর্ম বহুত্ববাদী ধর্ম, পৌত্তলিক ধর্ম, এ ধর্মের একজন মহান সংস্করণ ছিলেন মহারাজ আনন্দ স্বামী। ওনার আশ্রমটি উন্নয়নের
জন্য কমিটি করে ওনার আশ্রমটি সংস্করণ করতে হবে এবং দখলকৃত জমি উদ্ধারের জোর দাবী জানান।
বক্তারা আরো বলেন, আপনারা যদি দেশের উন্নয়ন চান, তাহলে আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। কারণ স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি। বাংলাদেশে অসম্পদায়িক রাজনৈতিক পক্ষের শক্তি সরকার গঠন না করলে বাংলাদেশটা আফগানিস্থানে রুপান্তরিত হবে। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নাই। নৌকার বিকল্প নাই।