মুক্তির কণ্ঠ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলের পূর্ব কুট্টাপাড়া রামকুমার সড়কে বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে রাস্তার বেহাল দশা। কয়েক বছর ধরে এ সড়কে সংস্কার না করায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি উপজেলা সদর ইউনিয়ন পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সরেজমিন উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব কুট্টাপাড়া রামকুমার সড়কে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ-পাথর সরে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। জনদুর্ভোগ লাগবে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি গ্রামবাসীর।
স্থানীয়না জানান , এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু অনেক বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটিতে। সড়কের এই বেহাল দশায় পণ্য পরিবহনসহ যাতায়াতে দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটিতে চলাচলকারী প্রাইভেটকার, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশার যন্ত্রাংশ। ফলে নষ্ট গাড়ি মেরামত করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চালকের। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, রামকুমার রাস্তাটি পিচ ডালাই করলে গাড়ি যাতায়াতে অতি তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি নিজে রাস্তাটি রড দিয়ে আরর্সিসি করার জন্য কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। খুব শীঘ্রই রাস্তাটির মেরামতের ব্যবস্থা নেওযা হবে।
সরাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আনিসুর রহমান ভুইয়া বলেন, রামকুমার রাস্তাটি অবস্থা খুবই শোচনীয়, এটা আমরা ননমিউনিপল সাপট প্রজেক্টের প্রাক্কলন করে পাঠিয়েছি। আসা করি কিছুদিনের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যাবে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সক্ষম হব এবং এলাকার লোকজনের এতদিনের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে ইনশাআল্লাহ।