
মামাত ভাই, জেলা ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদের ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ২০১১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরার পথে ফরিদ পুরের ভাঙায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
জেলা শহরের কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মালিবাগের নিবাসি মরহুম এডভোকেট এ এম হেলাল উদ্দিন ও নাজমা বেগমের একমাত্র ছেলে। তার পুরোনাম এডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদ। ব্যাক্তিগত জীবনে অত্যান্ত অমায়িক ও পরোপকারী। তার মেধাদিপ্ত ছাত্র রাজনৈতিক জীবণ ছিল খুবই খনিকের।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের বেদনাবিধুর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়।
আজ বেদনাবিধুর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালের আজকের এই দিনে রিয়াদ সহ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের ১২ ছাত্র নেতৃবৃন্দ শহীদ হয়।
দিবসটি পালনে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারে স্থাপিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের মাননীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সকাল ১০ টায়
স্মরণসভা ও ছাত্রনেতাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিলের
আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ জিয়ারত শেষে ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের ১১ জন ছাত্রনেতা সহ ১২ জনের আজ ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। বেদনাবিধুর শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিশাত সুলতানা খানম,
জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ সহ আরো অনেক আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন- তোমরা ছিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ছাত্রনেতা। তোমাদের কথা শুনে শুনেই বর্তমান প্রজন্ম রাজনীতিতে অনুপ্রেরণা যোগায়। তোমাদের অকাল মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র রাজনীতি কতোটা পিছিয়ে পড়েছে তা কখনো বলে প্রকাশ করা যাবে না।এইটুকু বলতে পারি তোমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটা ছাত্রনেতার হৃদয়ের মধ্যে ছিলে, আছো আর থাকবে,আমরা তোমাদের ভুলতে পারিনা।
লেখক- গণমাধ্যম কর্মী।